ব্লগিং থেকে কিভাবে সঠিক এবং সহজ নিয়মে আয় করা যায় এবং ব্লগিং থেকে কি পরিমান বাংলা এবং ইংলিশ সাইটের জন্য প্রতিদিন ইনকাম করা যায়, সে সম্পর্কে ব্লগিং-এর এটুজেট আজ জানাবো ইনশাল্লাহ।
যদি আপনি মোবাইল অথবা কম্পিউটারের মাধ্যমে আপনার কাজের ফাকে অথবা স্টুডেন্ট লাইফের পাশাপাশি ঘরে বসেই ভালো মানের একটি ইনকাম করতে চান তাহলে পোষ্ট টি আপনার জন্যই।
ব্লগিং কি?
ব্লগিং হচ্ছে পুরো বিশ্বের বিভিন্ন রকম লেখালেখি করার একটি বড় ধরনের ডিজিটাল প্লাটফর্ম। ব্লগিং বা ব্লগার কে অনেক ক্ষেত্রে অনেকে অনেক রকম ভাবে বিশ্লেষণ করে থাকে কিন্তু আমার কাছে ব্লগিং হচ্ছে এমন একটি মাধ্যম যা আপনি সহজে ঘরে বসে আপনার কিছু সহজ লেখালেখি বা ইনফরমেশন অন্যদের মাঝে বিলিয়ে দিয়ে ঘরে বসে ভালো মানের একটি ইনকাম করার মাধ্যম। আরো পরিষ্কারভাবে যদি আপনি বুঝতে চান তাহলে ধরে নিন এটি একটি ব্লগিং আপনি যেটি এখন পড়তেছেন এটি ব্লগিং এ্যার্নিং সোর্স এর মাধ্যমে আমরা ব্লগিং করে থাকি আর সেই লেখাটি আপনি পড়ে বিভিন্ন রকম ইনফরমেশন আমাদের ওয়েবসাইট থেকে কালেক্ট করতেছেন। এছাড়াও আপনি এই ব্লগিং এমন একটি ডিজিটাল প্লাটফর্ম যেখানে আপনার কোন ডোমেইন হোস্টিং কেনার জন্য ইনভেসমেন্ট প্রয়োজন পড়বে না।
ব্লগিং করতে কি কোন ইনভেস্টমেন্ট লাগবে?
ব্লগিং করতে শুরুতে কোন ধরনের কোন ইনভেস্টমেন্ট প্রয়োজন হয় না কারণ ব্লগিং-এ একটি বড় ধরনের হোস্টিং সার্ভার যার মাধ্যমে গোটা বিশ্বের সব ধরনের ব্লগার খুব সহজেই ঘরে বসে একটি ব্লগ সাইট তৈরি করে বিভিন্ন রকম ইনফরমেশন প্রতিনিয়ত সেখানে আপলোড করে গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে এবং বিভিন্ন রকম আরো আর্নিং মাধ্যমে তারা ভালো মানের একটি ইনকাম করে আসছে।
আমার বাস্তব অভিজ্ঞতা যদি বলি, তাহলে শুরুতে আপনি একটি ফ্রি ব্লগ সাইট তৈরি করুন এরপরে যদি আপনি গুগল এডসেন্স পান বা আরনিং শুরু হয় তখন আপনি একটি কাস্টম ডোমেইন 500 টাকা দিয়ে কিনে তারপরে সেখানে এড করে দেন তাহলেই দেখবেন আপনার সাইটটি খুব দ্রুত গুগলের কাছে র্যাংক পাবে এবং ভালো মানের ভিজিটর আসবে আর ভিজিটর আসলে ভালো মানের আর্নিং হবে ইনশাল্লাহ।
ব্লগিং করার জন্য কি কি প্রয়োজন
ব্লগিং করতে আসলে কি কি প্রয়োজন হবে। এই প্রশ্নটিই প্রতিনিয়ত একজন সাধারন মানুষের মনে ঘুরপাক খায়। কারণ একটি মানুষ যখন ব্লগিং শুরু করতে চায় তখন সে জানতে চায় যে তার ব্লগিং শুরু করলে কি কি জিনিসের দরকার পরবে বা কি ডিভাইজের প্রয়োজন পড়বে। তা না হলে একটি লোক যখন ব্লগিং এ কাজ শুরু করবে এর পরে এমন কোন জিনিস প্রয়োজন পড়বে যেটি উনার দ্বারা ম্যানেজ করা কখনোই সম্ভব হবে না। পরবর্তীতে দেখা যাবে তার সময় এবং শ্রম দুটি বৃথা এজন্য অবশ্যই ব্লগিং শুরু করার আগে কি কি জিনিস আপনার জানা দরকার এবং থাকা দরকার সে বিষয়ে জেনে রাখা টাই আমার দৃষ্টিকোণ থেকে অনেক ভালো। ব্লগিং থেকে ইনকাম করার বা ব্লগিং করার জন্য তেমন কিছু প্রয়োজন পড়ে না।
ব্লগিং করার জন্য ধর্য্য বা মানসিকতা
যে জিনিসটি দরকার হয়ে থাকে। সেটি হচ্ছে আপনার প্রচুর পরিমাণ অনলাইন থেকে বা অনলাইনে কাজ করার ধর্য্য বা মানসিকতা। এরপরে যে জিনিসটি আপনার দরকার হবে, সেটি হচ্ছে আপনার একটি ভালো কনফিগারেশনের ল্যাপটপ অথবা কম্পিউটার। এরপরে আপনার দরকার হবে ভালো মানের একটি ইন্টারনেট সার্ভিস যে ইন্টারনেটের মাধ্যমে আপনি ব্লগিং এ অনলাইনে কাজ করবেন। মোটামুটি আপনার অনলাইনে অথবা এমনিতেই লেখালেখি করার অভ্যাস। যেমন আপনি এখন যে লেখাটি পড়ছেন এটি একটি ব্লগিং আর্টিক্যাল বলা হয়। আর ব্লগিং করার মূল প্রাণকেন্দ্র এই হতেছে এই আর্টিকেল আর্টিকেল যত সুন্দর ভাবে আপনি লিখবেন তত আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর আসবে। আর ভিজিটর আসলে তত আপনার গুগল অ্যাডসেন্স থেকে বা অন্যান্য মাধ্যম থেকে ইনকাম বাড়বে।
ব্লগিং থেকে কত আয় হয়
অনেকের মনে প্রশ্ন থাকে- ব্লগিং করে প্রতি মাসে কি পরিমাণ আয় করা যায়। তবে হ্যাঁ এই প্রশ্নটা আপনার মনে আসাটাই স্বাভাবিক কারণ আপনি যে বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করবেন তার আগে অবশ্যই আপনার জানতে হবে আপনার কি পরিমান ইনকাম এই ব্লগ সাইট থেকে বা ব্লগিং করে আসতে পারে।
ব্লগিং করার ধরন
আমাদের বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ব্লগিং আসলে দুই প্রকারের হয়ে থাকে একটি হচ্ছে বাংলা লেখালেখি করে ব্লগিং আর অন্যটি হচ্ছে ইংলিশে লেখালেখি করে ব্লগিং। ইংলিশে ব্লগিং এর চাইতে বাংলায় ব্লগিং করা আমাদের জন্য অনেক সহজ কারণ আমরা বাংলাদেশের মানুষ বাংলায় লিখতে বুঝতে পড়তে ভালোবাসি এবং আমাদের জন্য সুবিধা হয়ে থাকে কিন্তু বাংলায় ব্লগিং করলে প্রতি মাসে আপনার আর নেই অনেক কম আসবে ইংলিশ ব্লগিং এর তুলনাই। তাই আপনি যদি ইংলিশে ভালো দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে আমার পরামর্শ হবে আপনি যেকোনো একটি নিজের উপর ইংলিশ সাইট তৈরি করে আপনি ব্লগিং শুরু করুন তাহলে ভালো মানের একটি আর্নিং প্রতিমাসে করতে পারবেন।
যদি আপনি আমার মত বাংলায় ভালো হন বা বাংলা টুকিটাকি পারেন তাহলে আপনি বাংলায় আমাদের মত একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগ সাইট তৈরি করে কাজ শুরু করতে পারেন। আর ব্লগিং করে আর্নিং এর নির্দিষ্ট কোন পরিমাণ থাকে না কারণ একটি ব্লগ সাইট যখন জনপ্রিয় হয়ে যাবে তখন আপনি গুগল এডসেন্স এর পাশাপাশি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে শুরু করে অন্যান্য বিভিন্ন রকম মার্কেটিং করে একটি ওয়েবসাইট থেকেই আপনি ভালো মানের একটি ইনকাম করতে পারবেন এজন্য আমার পার্সোনাল বা ব্যক্তিগত অভিমত হচ্ছে ব্লগিং এর কোন নির্দিষ্ট পরিমাণ আয় নেই, তবে আপনি ভালো মানের আয় করতে চাইলে আপনার একটি ভালো ব্লগ সাইট তৈরি করতে হবে।
আপনি মন দিয়ে ব্লগিং শুরু করেন তাহলে প্রতি মাসে শুরুতে আপনি 10 থেকে 20 হাজার টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
অর্গানিক ভিজিটর কিভাবে পায়
একটি ব্লগ সাইট সম্পূর্ণরূপে তৈরি হয়ে গেলে তখন ওই ওয়েবসাইটে অর্গানিক ভিজিটরের প্রয়োজন হয়ে থাকবে। এখন জানাবো অর্গানিক ভিজিটর আসলে কি?
অর্গানিক ভিজিটর হচ্ছে গুগল সার্চ থেকে যে ভিজিটর আপনার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করবে এবং আপনার লেখালেখি গুলো পড়ে বিভিন্ন রকম বিষয়ে জানবে। ধরুন আমাদের যখন কোন কিছুর প্রয়োজন পড়ে থাকে তখন আমরা গুগলে গিয়ে সেই প্রয়োজনটি লিখলেই ওই ধরনের বিভিন্ন রকম লেখা লিখি বা ভিডিও পেয়ে থাকি সেখান থেকে আমরা আমাদের সেই প্রয়োজনের জিনিসটি পেয়ে যায় সহজে এবং আমরা উপকৃত হই এটাই হচ্ছে অর্গানিক ভিজিটর।
আপনার একটি ব্লগ সাইট যখন সম্পূর্ণরূপে তৈরি হয়ে যাবে। তখন আপনার পোস্টগুলো এমনভাবে সুন্দর করে এসইও ফ্রেন্ডলি লিখতে হবে যাতে খুব সহজেই গুগোল আপনার ওয়েবসাইটের সার্চ ভলিয়্যুমটা বাড়িয়ে দেয় এবং বিভিন্ন রকম ইউজারের কাছে আপনার বার্তা টি খুব দ্রুত সবার প্রথমে নিয়ে এসে দেয়।
আপনার গুগল এডসেন্স থেকে ইনকাম করার ক্ষেত্রে সর্বপ্রথম গুরুত্ব দিতে হবে এই অর্গানিক ভিজিটরের দিকে। আপনার সাইটে যদি অর্গানিক ভিজিটর আসে তাহলে গুগল কখনোই আপনার সাইটে গুগোল অ্যাডসেন্সে দ্যান্ড করবেনা।
ব্লগ সাইট তৈরি করার নিয়ম
প্রথমে আপনি blogger.com ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন। এর পরে আপনি সাইন আপ এ গিয়ে ক্লিক করে আপনার একটি ব্লগ সাইট তাদের নির্দেশনা অনুযায়ী তৈরি করতে পারেন, সেখানে আপনার শুধু একটি জিমেইল অ্যাকাউন্ট প্রয়োজন পড়ে থাকবে। আপনার যদি জিমেইল অ্যাকাউন্ট আপনার ব্রাউজারে ইতিপূর্বে সেভ করা থাকে। তাহলে আপনি সেভ কন্টিনিউ অপশনে ক্লিক করে আপনার একটি ব্লগ সাইট খুব সুন্দর ভাবে তৈরি করে ফেলতে পারবেন। আসলে ব্লগিং-এ অ্যাকাউন্ট তৈরি করা একদমই সহজ কিন্তু আপনার ব্লগ সাইটটি সুন্দরভাবে সাজানো কঠিন আপনার ব্লগ সাইট টি সুন্দরভাবে সাজানোর জন্য আপনার একটি সুন্দর থিম প্রয়োজন পড়ে থাকবে, থিমও ফ্রী তে পাওয়া যায় এবং আপনি কোন বিষয় নিয়ে লেখালেখি করবেন তার জন্য আপনার একটি লৌহ সহকারে আপনার সাইটের টাইটেল এবং হেডলাইন গুলো আগে থেকেই সিলেক্ট করে রাখতে হবে।
এখন বর্তমানে একটি ব্লগ থেকে বিভিন্ন উপায়ে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম করা যায়। ব্লগ থেকে অনলাইন ইনকামের যতগুলো পদ্ধতি আছে, তার মধ্যে পদ্ধতিগুলো বেশ জনপ্রিয় তা নিচে দেখানো হলো:
- ব্লগে বিজ্ঞাপন দিয়ে টাকা ইনকাম।
- গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে আয়।
- ব্লগে প্রোডাক্ট ব্রান্ডিং করে অর্থ আয়।
- ব্লগ দিয়ে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করা।
- অন্যকারো ব্যাক্তিগত বা প্রতিষ্ঠানে ব্লগ লিখে আয়।
ব্লগিং করে কত ক্লিকে কত ডলার আয়
এমনও হতে পারে, প্রতিদিন ১ হাজার ভিজিটর এসে ৩০টি ক্লিক করে গেল সেক্ষেত্রে আয়ের পরিমাণ ৫-৬ ডলার। আবার দেখা গেল, ভিজিটর ৫০ হাজার কিন্তু ক্লিক পড়েছে মাত্র ১০টি। সেক্ষেত্রে আয় কমে হবে ২ ডলার।
বাংলাদেশি ভিজিটরের ১ ক্লিক মাত্র ১০ সেন্ট (বা কম বেশী হয়ে থাকে) কিন্তু আমেরিকান ভিজিটরের ১ ক্লিক ১০-২০ ডলার (কম বেশি) হয়। সুতরাং ভিজিটরের লোকেশনও অনেক বড় ফ্যাক্টর হয়ে থাকে ব্লগ বা ওয়েবসাইটে।
আপনার ব্লগে আবার কি ধরণের বিজ্ঞাপন প্রদর্শিত হচ্ছে তার উপরেও আয় নির্ভর করবে৷ সুতরাং ব্লগসাইট থেকে ইনকাম কত হবে তা নির্ভর করছে তা দেখে নিন।
- ভিজিটর সংখ্যার উপর।
- বিজ্ঞাপনে ক্লিক সংখ্যার উপর।
- ভিজিটরের লোকেশনের উপর।
- বিজ্ঞাপণের ধরনের উপর।
- ব্লগসাইটের পপুলারিটির উপর।
- ব্লগসাইটের বয়সের উপর।
ব্লগিং সম্পর্কে সাধারণ ধারণা
আমাদের এই ওয়েবসাইটটি যেহেতু প্রশ্ন উত্তরের পাশাপাশি অনলাইন থেকে ইনকাম করার একটি প্লাটফর্ম। এজন্য আমরা বরাবরই এই ওয়েবসাইটের ব্লগ পোস্ট অপশন থেকে বিভিন্ন রকম ব্লগিং এবং অনলাইন থেকে আর্নিং করা এবং জ্ঞান চর্চা মূলক বিভিন্ন পোস্ট দিয়ে রাখব। আপনারা চাইলে এই ব্লগের পোস্ট অপশন টি তে ক্লিক করে বিভিন্ন রকম ইনফরমেশন মূলক পোস্ট দেখতে পারেন এবং আমাদের এই ওয়েবসাইটটিতে আপনি ইউজার হিসেবে জয়েন করে ও জ্ঞান চর্চার পাশাপাশি ভালো মানের একটি ইনকাম করতে পারেন।