দশ মিনিটে জেনে নিন পুঁইশাকের উপকারিতা ও অপকারিতা

0

১০ মিনিটে জেনে নিন পুঁইশাকের উপকারিতা ও অপকারিতা

পুঁইশাক

আমাদের বাঙালীদের একটা প্রবাদ আছে যে__ মাছের মধ্যে রুই, আর শাকের মধ্যে পুঁই। দেশের জনপ্রিয়, সুস্বাদু ও পুষ্টিকর অনেক ধরনের শাকের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে পুঁইশাক। বাজারে পায় সবসময় কমবেশি পুঁইশাক পাওয়া যায়। ইলিশ মাছ ও পুঁইশাক এবং চিংড়ির সাথে পুঁই এটি বাঙালিদের অতি জনপ্রিয় একটি খাবার। অনেক পুষ্টিগুনে ভরা এবং ভিটামিনসমৃদ্ধ এই পুইশাক যেমন রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে আবার আমাদের ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াতেও বেশ কার্য্যকর।

পুইশাকের দেখতে কেমন হয়?

পুঁইশাক এটি লতাজাতীয় উদ্ভিদ। পুঁইগাছের পাতা এবং ডাঁটা দুটিকেই শাক হিসেবে খাওয়া হয়। এটি নরম এবং বহুশাখাযুক্ত উদ্ভিদ। এই শাকের লতা দ্রুত বৃদ্ধি পায়, এই শাক দৈর্ঘ্যে প্রায় ১০ মিটার পর্যন্ত হতে দেখা যায়। পুঁইয়ের মোটা, রসাল, হরতন আকৃতির পাতায় মৃদু সুগন্ধ থাকে। পাতা মসৃণ, খানিকটা পিচ্ছিল ধরনের হয়ে থাকে, এই শাক দুই ধরনের। একটি সবুজ পাতা ও ডাঁটা হালকা সবুজ। অন্যটি সবুজ পাতা কিন্তু কাণ্ড বা ডাঁটা লালচে বেগুনি রঙের দেখা যায়, যা লাল পুঁই হিসেবে পরিচিত।

পুঁইশাকের পুষ্টি উপাদান

পরিবেশন আকার ১০০ গ্রাম এবং পরিবেষনার ধরন ৪ কাপন

ক্যালরি: ২৫ কিলোক্যালরি

ভিটামিন সি: ৫১.৮ মিলিগ্রাম

ভিটামিন এ: ১৭০ I.U. (আন্তর্জাতিক একক)

প্রোটিন: ২.৪ গ্রাম

শর্করা: ২.১ গ্রাম

ফ্যাট: ০.৩ গ্রাম

পানি: ৯০.৮ গ্রাম

পুঁইশাক কেন এত উপকারী

পুঁই শাক আমাদের চারপাশে প্রচুর দেখা যায়। বাড়ির আঙ্গিনাতেই এই শাক লাগানো যায়। ছোট্ট একিটি বানেই যে পরিমান পুইশাক হয় তাতেই আমাদের দৈনন্দিন প্রয়োজনীও পুষ্টি পাওয়া যায়। এতে আছে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন বি, সি ও এ। এবং আছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম ও আয়রণ। যা আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজন। প্রচুর ভিটামিন থাকার জন্য আমরা অনেক রোগ থেকে মুক্ত থাকতে পারি। এছাড়া পুইশাকে রয়েছে ফলিক অ্যাসিড, পটাশিয়াম, জিঙ্ক এবং খনিজ পদার্থ ।

পুঁইশাকের উপকারিতা

অন্যান্য শাকের মতো এই শাকে ও রয়েছে প্রচুর ভিটামিন এতে রয়েছে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, লোহা এবং ক্যালসিয়াম । আমিষের পরিমাণও রয়েছে বেশি। এ ছাড়াও এই শাকে আঁশের পরিমাণও অনেক বেশি।

পুঁইশাক দেহের ওজন কমায়

পুঁইশাকে থাকা ভিটামিন সি এবং আয়রন সমৃদ্ধ মেটাবলিজম বা বিপাক ক্রিয়া সহজ করে ক্যালরি ক্ষয় করতে সাহায্য করে। অতিরিক্ত মোটা হলে নিয়মিত পুঁইশাক খাওয়া বেশ উপকারি, কারণ পুইশাকে ওজন কমানোর উপাদান রয়েছে।

২. পুঁইশাক দেহের এনার্জি বাড়ায়

এই বর্তমান যুগে আমাদের সবাইকে অনেক কাজ করতে হয় এবং আর তার জন্য দরকার প্রচুর এনার্জি। পুঁইশাক এনার্জি বাড়াতে সাহায্য করে। পুঁইশাকে থাকা ম্যাগনেসিয়াম এনার্জি বাড়াতে সাহায্য করে থাকে। পুঁইশাক ফোলেটের একটি ভালো উৎস যা খাবারকে এনার্জিতে রূপান্তরিত করে। তাছাড়া পুঁই হল ন্যাচারাল অ্যালকালাইন যা সারাদিন আমাদের এনার্জেটিক ধরে রাখতে বেশ কার্য্যকর ভূমিকা পালন করে। পুঁইশাকে থাকে ম্যাগনেসিয়াম। এটি এনার্জি বাড়াতে সাহায্য করে। পুঁইশাকে থাকে ফোলেট। এটি এনার্জির উৎস। এটি খাবারকে এনার্জিতে রূপান্তরিত করে। তাছাড়া পুঁইশাক হল ন্যাচারাল অ্যালকালাইন। এই উপাদান আমাদের তরতাজা, এনার্জেটিক রাখে।

৩. পুঁইশাক হজমের ক্ষমতা বাড়ায়

কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে দূরে রাখতে পুঁইশাক বেশ উপকারী। পুইশাকে ফাইবার থাকায় কোষ্ঠকাঠিন্য হতে দেয় না, বাঙালিদের মধ্যে গ্যাসের সমস্যা একটি কমন সমস্যা। কিন্তু পুঁইশাক এই সমস্যা থেকে আমাদের রক্ষা করতে পারে। এটি হজম ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ বের করে দেয়। যেহেতু খাবার ভালোভাবে হজম হয় তাই বদহজমের সমস্যা হয় না।

৪. পুইশাক ডায়াবেটিস কমায়

পুঁই শাকে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, যার পূর্ননাম লিপোইক অ্যাসিড। এই অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে সাহায্য করে, আর ইনসুলিনের ভারসাম্য বজায় রাখতে বেশ ভুমিকা রাখে। এটি প্রমাণিত হয়েছে যে ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথি আর অটোনমিক নিউরোপ্যাথি কমায়। অর্থাৎ বলা যেতেই পারে যে পুইশাক ডায়াবেটিস কমাতে বেশ কার্য্যকর।

৫. মরণ ব্যাধি ক্যানসার প্রতিরোধে পুইশাক

সবুজ শাক ও সবজির মতো পুঁইশাকেও রয়েছে ক্লোরোফিল। গবেষণা করে গবেশকগণ বলেছেন, এই ক্লোরোফিল কিন্তু কার্সিনোজেনিক প্রভাব আটকাতে খুব ভালো কাজ করে। এই কার্সিনো জেনিকের প্রভাবেই ক্যানসার হয়। আর এই কার্সিনোজেনিক প্রভাব হয় খুব বেশি মাত্রায় কিছু গ্রিল করলে। এতে থাকা ফাইবার পাকস্থলী আর কোলন ক্যানসার প্রতিরোধ করে। তবে পুঁইশাক কিন্তু ক্যানসার দূর করতে বেশ কার্য্যকরি একটি উদ্ভিদ। পুঁইশাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আঁশ বা ফাইবার, যা পাকস্থলী ও কোলন ক্যানসার প্রতিরোধ করতে বেশ কার্য্যকর। সবুজ শাকসবজিতে তাহেক ক্লোরোফিল। এই ক্লোরোফিল  কার্সিনোজেনিক প্রভাব আটকায়। এই কার্সিনোজেনিকের প্রভাবেই ক্যানসার হয়। তাই পুঁঈশাক খুবই উপকারী। তাছাড়া এর ফাইবার পাকস্থলী আর কোলন ক্যানসার প্রতিরোধ করে। পুঁইশাক ক্যানসার দূরে রাখতে সক্ষম।

৬. পুঁইশাক শিশুদের বৃদ্ধি বাড়াতে সাহায্য করে

শিশুদের বাড়ন্ত বয়সে যদি নিয়মিত পুঁইশাক খাওয়ানো যায় তাহলে সকল শিশুদের বৃদ্ধি ভালো হয়। শিশুরা তাদের বেড়ে ওঠার জন্য প্রয়োজনীয়  ভিটামিন, মিনারেল ও প্রোটিন  পুঁইশাক থেকে পেতে পারে। তাই বাচ্চাদের ছোট থেকেই পুঁইশাক খাওয়ানোর অভ্যাস অনেক উপকারী।

৭. পুঁইশাক চোখ ভালো রাখে

আমাদের শরীরের অত্যন্ত সুক্ষ্ম একটি অঙ্গ চোখ। তাই চোখের আলাদা করে যত্ন নেওয়া খুবই দরকার। পুঁই শাক কিন্তু চোখ ভালো রাখতে ও বেশ কার্যকরী। পুঁইশাকে রয়েছে বিটা ক্যারোটিন, লুটেইন আর এই সব উপাদান চোখের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে খুবই কার্য্যকর। লুটেইন থাকে ম্যাকুলায় যেটি রেটিনার একটি অংশ আর এটি অতিরিক্ত আলোর প্রভাব থেকে চোখকে ভালো রাখে। মেক্যুলার ডিজেনারেশনের থেকে ও চোখকে রক্ষা করে থাকে। পুঁইশাক চোখ ভালো রাখতে খুব ভালো। এতে আছে বিটা ক্যারোটিন, লুটেইন। এই উপাদানগুলি চোখের জন্য খুবই ভালো। কারণ রেটিনার একটি অংশ ম্যাকুলা এতে থাকে লুটেইন। এই লুইটেন অতিরিক্ত আলোর কুপ্রভাব থেকে চোখকে রক্ষা করে। ম্যাকুলার ডিজেনারেশনের থেকেও চোখকে রক্ষা করে।

৮. পুঁইশাক ব্লাড প্রেসার কমায়

পুঁইশাক পটাসিয়ামের ভালো একটি  উৎস। পটাশিয়াম শরীরে সোডিয়ামের মাত্রা ঠিক রাখে। তাই পুঁইশাক কম খাওয়া মানে শরীরে পটাশিয়াম কম আসা আর তার ফলে ব্লাড প্রেসারকে সঙ্গী করা। নিয়মিত পুঁইশাক খেলে আমাদের ব্লাড প্রেসার ঠিক থাকে।

৯. পুঁইশাক হাড় শক্ত করে

পুইশাকে রয়েছে ভিটামিন কে, হাড় শক্ত করতে সাহায্য করে পুইশাক। তাই ভিটামিন কে শরীরে কম প্রবেশ করা মানে হাড়ের মজবুতি কমে যাওয়া। পুঁইশাক ভিটামিন কে’র একটি খুব ভালো উৎস। ভিটামিন কে হাড়ের মেট্রিক্স প্রোটিন উন্নত করে। ক্যালসিয়াম ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। পাশাপাশি, ইউরিনে ক্যালসিয়ামের মাত্রাও ক্মইয়ে দেই। তাই হাড়ের শক্তি বাড়ানো জন্য পুঁইশাক অত্যন্ত কার্য্যকর একটি উদ্ভিদ।

১০. পুঁইশাক স্বাস্থ্যকর চুল ও ত্বকের জন্য

পুঁইশাকে আছে ভিটামিন এ, যা আমাদের ত্বকের আর স্ক্যাল্পের তেল নিঃসরণকে নিয়ন্ত্রণ করে। ময়েশ্চার ধরে রাখে। অতিরিক্ত তেল বা সিবাম নিঃসরণ হলে ব্রণ হয়। পুঁইশাক যেহেতু এই নিঃসরণ কমায় তাই ব্রণ হয় না। ত্বকের কোষ কোলাজিনের জন্য যে ভিটামিন সি এতো দরকারী, সেই ভিটামিন সি’র উৎস এই পুঁই শাক।

১১. পুঁইশাক শুক্রানুর সক্রিয়তা বৃদ্ধি করে

পুঁইশাক খাওয়ার ফলে শুক্রানুর সক্রিয়তা বৃদ্ধি পায়। সবুজ শাক সবজিতে প্রচুর পরিমাণে ফলিক এসিড, জিঙ্ক ,আয়রন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা শুক্রানুকে সুস্থ সবল রাখতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে।

১২. পুঁইশাক শিশুদের জন্য

শিশুদের নিয়মিত পুঁইশাক খাওয়ালে তাদের বৃদ্ধি ভালো হয়। শিশুদের বেড়ে ওঠার জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টিগুণ যেমন – ভিটামিন, প্রোটিন, নানান খনিজ  এইপুঁইশাক থেকে পাওয়া যায়।

১৩. পুঁইশাক রোগ প্রতিরোধের জন্য

এর পুষ্টিগুণ প্রচুর। শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বারাতে এটি বেশ উপকারী।

১৪. পুঁইশাক শর্করার জন্য

পুঁইশাকে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আছে। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের নাম লিপোইক অ্যাসিড। এই অ্যান্টি অক্সিডেন্ট রক্তে শর্করার মাত্রা কমায়। পাশাপাশি ইনসুলিনের ভারসাম্যও ধরে রাখে। তা ছাড়া এটি ডায়াবেটিস রোগিদের পেরিফেরাল নিউরোপ্যাথি এবং অটোনমিক নিউরোপ্যাথির সমস্যা কমায়।

১৫. পুঁইশাক অ্যাজমা আটকায়

পুঁইশাকে আছে বিটা ক্যারোটিন। এই বিটা ক্যারোটিন অ্যাজমা হওয়ার আশঙ্কা কমায়। পুঁইশাক পটাশিয়ামের উৎস। পটাশিয়াম ব্লাড প্রেসার কমায়। পটাশিয়াম শরীরে সোডিয়ামের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে।

১৬. পুঁইশাক ব্রণের জন্য

অতিরিক্ত তেল বা সিবাম হল ব্রণের কারণ। পুঁইশাক এই সিবাম নিঃসরণ কমায়, তাই ব্রণ হয় না। ভিটামিন সি ত্বকের কোষ কোলাজিনের জন্য যে ভালো। তাও আছে এই শাকে।

১৭. পুঁইশাক পাইলস কমায়

নিয়মিত পুঁইশাক কোষ্ঠকাঠিন্য যেমন দূর হয় তেমনই পাইলস, ফিসচুলা ও হেমোরয়েড হওয়ার আশঙ্কা কমায়।

১৮. পুঁইশাক প্রদাহ কমায়

পুঁইশাকের আছে অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি উপাদান। তাই শরীরের কোনো প্রদাহ হলে বা ফুলে গেলে পুঁইশাকের শিকড় বেটে প্রলেপ লাগালে তড়াতাড়ি কমে যায়। ফলে শরীরে খোসপাঁচড়া, ফোঁড়া ইত্যাদির সংক্রমণ হতে পারে না।

১৯. মাথাব্যথায় জন্য পুঁইশাক

প্রতিদিন মাথাব্যথার রোগ থাকলে নিয়মিত পুঁইশাক খাওয়া ভালো।

পুঁইশাকের অপকারিতা: 

পুঁইশাকের কিছু অপকারিতাও রয়েছে। যাদের এর্লাজির সমস্য রয়েছে তারা বেশি পরিমানে এই শাক খেলে এর্লাজির মাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে। পুঁইশাক অক্সালেটস সমৃদ্ধ, এটি গ্রহণ করলে আমাদের শরীরের তরল পদার্থে অক্সালেটস এর পরিমাণ বেড়ে যায় এবং এর ফলে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। পুঁইশাকে পিউরিন (Purines) নামক উপাদান রয়েছে যা অতিরিক্ত গ্রহণের ফলে শরীরে ইউরিক এসিড (Uric Acid) বৃদ্ধি পায় এবং এর ফলে গেঁটেবাত,কিডনীতে পাথর ইত্যাদি রোগ হতে পারে। কিডনি এবং পিত্তথলির বিভিন্ন সমস্যায় যারা ভুগছেন, তাদের অবশ্যই পুঁইশাক খাওয়ার পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া দরকার।

পুঁইশাকের কিছু এক্সট্রা গুন

পুঁইশাকের আছে অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি গুণ। শরীরের কোনো অংশ আঘাত প্রাপ্ত হয়ে ফুলে গেলে পুঁইশাকের শিকড় বেটে লাগালে দ্রুত উপশম হয়। শরীরে খোসপাঁচড়া কিংবা ফোঁড়ার মতো অনাবশ্যক সংক্রমণের বিরুদ্ধে ও লড়তে পারদর্শী পুঁইশাক। যাঁদের প্রায় প্রতিদিনই মাথাব্যথা থাকে, নিয়মিত পুঁইশাক খেলে তাঁরা উপকার পাবেন খুব দ্রুত। তাই পরিবারের সবার স্বাস্থ্য সচেতনতায় খাদ্য তালিকায় নিয়মিত রাখুন পুঁইশাক।

যাদের পুঁইশাক না খাওয়াই ভালো

পুঁইশাক অক্সালেটস সমৃদ্ধ। তাই এটি খেলে শরীরের তরল পদার্থে অক্সালেটস এর পরিমাণ বেড়ে যায়। ফলে বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। তাছাড়া পুঁইশাকে পিউরিন নামক উপাদান রয়েছে, যা অতিরিক্ত গ্রহণের ফলে শরীরে ইউরিক এসিড বৃদ্ধি পায়। এর ফলে গেঁটেবাত, কিডনিতে পাথর ইত্যাদি রোগ হতে পারে।

বিশেষ দ্রব্য: যারা কিডনি এবং পিত্তথলির বিভিন্ন সমস্যায় ভুগচ্ছেন, তাদের অবশ্যই পুঁইশাক খাওয়ার পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

Post a Comment

0Comments
Post a Comment (0)